চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হাতে-কলমে কাজ জানা ও শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। কাজেই এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিকুলাম এর একটা গুরুত্বপূর্ণ কোর্স হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। এটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদী একটি হাতে-কলমে শিক্ষা ব্যবস্থা।
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত অবকাঠামোগত শিক্ষাব্যবস্থাকে নির্দেশ করে যেমনঃ দালান রাস্তা সেতু বাঁধ পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। পরিবেশ ব্যবস্থাপনার সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সম্পর্ক খুবই নিবিড়। যেহেতু একটি দেশের অবকাঠামোগত সৌন্দর্যের পরিচালক হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অপরিসীম সেহেতু বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কার্যক্ষেত্র অনেক বেশি প্রসারিত।
ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভিত্তি মূলত পাঁচটি
- জিও টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
- সার্ভেইং/জরিপ বিদ্যা
- এন ভাইরন মেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার/ ইঞ্জিনিয়ারিং
উল্লেখিত পাঁচটি বিষয়ের উপর একজন ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট দীর্ঘ চার বছরে হাতে-কলমে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করে থাকে এবং এজন্য তার অর্জিত জ্ঞানের উপরে নির্দিষ্ট ভিত্তিগুলোর যেকোনো একটি অংশে ওই ছাত্রছাত্রী কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশে মূলত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কার্যক্ষেত্র অনেক বেশি প্রসারিত। একজন ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী চার বছর পড়াশোনা করার পর দশম গ্রেডের সরকারি চাকরি থেকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দেশে-বিদেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে অনেক ভালো মানের চাকরি করতে পারে। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকুরীর অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকলে খুব সহজে একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
বাংলাদেশে মূলত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কার্যক্ষেত্র অনেক বেশি প্রসারিত। একজন ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী চার বছর পড়াশোনা করার পর দশম গ্রেডের সরকারি চাকরি থেকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দেশে-বিদেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে অনেক ভালো মানের চাকরি করতে পারে। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকুরীর অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকলে খুব সহজে একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
উচ্চ শিক্ষার সুযোগঃ
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে (DUET-Dhaka University of Engineering & Technology), নামে পরিচিত।এছাড়াও দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি ও স্বায়িত্বশাসিত চাকুরীর ক্ষেত্র সমূহ:
একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করার পর বিভিন্ন সরকারি চাকরি সুযোগ পেয়ে থাকে যা ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ১০ম গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত। নিচে বিভিন্ন সরকারি ও স্থা স্বায়িত্বশাসিত সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলো তুলে ধরা হলো:
ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি ও স্বায়িত্বশাসিত চাকুরীর ক্ষেত্র সমূহ:
একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করার পর বিভিন্ন সরকারি চাকরি সুযোগ পেয়ে থাকে যা ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ১০ম গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত।
নিচে বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়িত্বশাসিত সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলো তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশে সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলো হল:
- গণপূর্ত অধিদপ্তর
- সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর
- সেচ অধিদপ্তর
- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
- বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড
- বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
- ঢাকা ওয়াসা
- হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন
- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর
- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
- ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই অথোরিটি
- ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়
- প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
- দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অধিদপ্তর
- বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র
- সার্ভে অব বাংলাদেশ
- প্রতিরক্ষা
- পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়
- বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন।
বাংলাদেশে স্বায়িত্বশাসিত সরকারি কর্মক্ষেত্র গুলো হল:
- তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড
- জালালা বাঁধ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড
- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
- ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি
- নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড
- ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ
- পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ
সরকারি এবং স্বায়িত্বশাসিত সরকারি চাকুরী ছাড়া ও একজন ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে অনেক দাপটের সাথে কর্মক্ষেত্র বেছে নিতে পারে এবং এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রসারতা বাংলাদেশে অনেক বেশি যার কারণে একজন ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাজের বা কর্মের ক্ষেত্রে কখনো কোন অভাব হয় না।
সর্বোপরি বলা যায় যে ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর বেকার থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
বাংলাদেশ সরকারি মোট ৫৪টি পলিটেকনিক রয়েছে এবং এই পলিটেকনিক গুলো থেকে প্রতিবছর অনেক অভিজ্ঞ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বের হয়ে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারি পলিটেকনিক এর পাশাপাশি অনেক ভালো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা খুব ভালো মানের হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করে থাকেন।
পুরো বাংলাদেশ বড় পরিসরে যারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করে থাকেন বেসরকারিভাবে তাদের মধ্যে সাইক গ্রুপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পলিটেকনিক নেটওয়ার্ক এই সাইক গ্রুপ পরিচালিত সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বগুড়া জেলার, সদর থানার, মাটি ডালি বিমান মোড়ে অবস্থিত।
সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাইক গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান এবং এটি বগুড়া জেলার সদর থানার মাটিডালি বিমান মোড়ে একটি সুবিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে অবস্থিত। এই ক্যাম্পাসটি সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ক্যাম্পাস এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, হোস্টেল, খেলার মাঠ ও ক্যান্টিনের সুন্দর সুব্যবস্থা রয়েছে এবং এটির শিক্ষাগত পরিবেশ অনেক মনোরম ও প্রাকৃতিক। এখানে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক পর্যাপ্ত ল্যাবের ব্যবস্থা রয়েছে প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টের অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ দ্বারা ক্লাস পরিচালনা করা হয় । অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দীর্ঘ চার বছর তাদের তৈরি করে তোলা হয়।
সাইক পলিটেকনিক থেকে একজন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীকে ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুযোগ করে দেওয়া হয়ে থাকে যা সাইক গ্রুপের জব প্লেসমেন্ট সেল ইউনিট পরিচালনা করে থাকে সাইক পলিটেকনিকের জব প্লেসমেন্ট সেল ইউনিট খুবই দক্ষতা ও গুরুত্বের সহিত একজন শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ সময় ধরে তার ভবিষ্যৎ কর্ম জীবন সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে ও প্রস্তুত করে তোলে ।
কাজেই সাইক পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করার পরে কোন শিক্ষার্থীকেই ঘরে বসে থাকতে হয় না
২০১২ সাল থেকে সাইক গ্রুপের সাইক পলিটেকনিক বগুড়ায় সফলতা ও সুনামের সহিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিকুলাম পরিচালনা করে আসছে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি পলিটেকনিক নেটওয়ার্ক সাইটক গ্রুপ যা অত্যন্ত গর্বের।